প্রোগ্রামিং শেখার জন্য কেমন কনফিগারেশন এর কম্পিউটার হলে ভালো হবে? ভবিষ্যৎ আপগ্রেডের সুবিধা রেখে?
▶প্রোগ্রামিং শেখার জন্য কেমন কনফিগারেশন এর কম্পিউটার হলে ভালো হবে? ভবিষ্যৎ আপগ্রেডের সুবিধা রেখে?
অনেকের মনে একটা বড় প্রশ্ন থাকে যে আমি প্রোগ্রামিং করব বা ওয়েভ ডেভলপমেন্ট করবো আমার কি ধরনের ল্যাপটপ বা কম্পিউটার প্রয়োজন?
বেসিক প্রোগ্রামিং এর জন্য যেকোনো কনফিগারেশনের পিসি দিয়ে কাজ চলে। তবে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এর জন্য যেটা মাথায় রাখতে হবে একটা ভালো স্টোরেজ থাকতে হবে এবং ভালো একটা প্রসেসর থাকতে হবে।
আপনার কম্পিউটার বা ল্যাপটপের এই দুইটা জিনিস যত ভালো হবে আপনি ততো আরাম পাবেন কাজ করে।
তবে একেবারে অনেক হাই কনফিগারেশনের laptop/pc দরকার নেই ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এর জন্য। ভারি গ্রাফিক্স কার্ড দরকার ও নেই।
আপনি চাইলে তো অনেক হাই কনফিগারেশনের ল্যাপটপ বা কম্পিউটার কিনতে পারেন। তবে একটা যদি মিনিমাম কনফিগারেশন, যেটা দিয়ে ভালোভাবে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এর কাজ চালানো যাবে সেটা বলি।
যে ল্যাপটপ বা কম্পিউটার নিবেন সেটার ram 8gb হলে ভালো হয়। প্রসেসর মিনিমাম core i3 8th জেনারেশন হলে ভালো। আর ১২৮ জিবি SSD সাথে থাকলে জমবে ভাল। আপনার প্রয়োজন হলে 500 জিবি হার্ডডিস্ক সহ লাগিয়ে নিন। এটা প্রয়োজন হয় মাঝেমধ্যে।
আমি কয়েকটা কনফিগারেশন সাজেস্ট করতে পারিঃ
১।
Storage- 128gb SSD
Processor- core i3 8th gen.
Ram- 8gb
২।
Storage- 128gb SSD
Processor- core i5 6th gen.
Ram- 8gb
৩।
Storage- 256gb SSD
Processor- core i3 5th gen.
Ram- 4gb (extended to 8 gb)
বাজারে অনেক 4gb Ram ওয়ালা ল্যাপটপ থাকে যেগুলোতে আরো 4gb র্যাম লাগানো যায় । সেগুলো হলেও সুবিধা হয়। ফোর জিবি RAM এর সাথে আরো 4gb লাগিয়ে নিলেন খুব ভালো ভাবেই চলবে।
অনেকের প্রশ্ন হতে পারে যে এইট জিবি র্যাম কেন প্রয়োজন? আসলে আমরা যখন ওয়েব ডেভেলপমেন্টের কাজ করি তখন আমাদের ব্রাউজার ওপেন রাখতে হয়, অনেক সময় অনেক গুলো ট্যাব ওপেন রাখতে হয় ব্রাউজারে। যেমন ক্রোম নিজেই হয়তো 2gb জায়গা দখল করে ফেলে।
এছাড়াও পিসিতে নিজের কাজগুলো করার জন্য আরও 1gb প্রয়োজন হয় র্যামের।
তবে আপনি যদি শুধু ফ্রন্ট এন্ড এর কাজ করেন সেক্ষেত্রে তখন সমস্যা খুব একটা হয় না। কিন্তু front-end এবং back end যখনএকসাথে কাজ করে সার্ভার সাইডে অনেক বেশি চাপ হয়ে যায়। আপনার পিসি বা ল্যাপটপ এর উপর লোড অনেক বেশি হয়ে যায়। হ্যাং করে ফেলতে পারে বা রেস্পন্স টাইম অনেক বেশি হয়ে যায়। তাই 8gb RAM থাকলে ভালো।
More Read: Good news for WhatsApp users
তবে কারো যদি এইট জিবি র্যাম এফোর্ড করা না যায় সেক্ষেত্রে ফোর জিবি র্যাম এর সাথে একটা 256gb SSD লাগিয়ে ফেললে খুব ভালো পারফর্মেন্স করতে পারে।
আরেকটা জিনিস মাথায় রাখতে হবে আপনি যদি 40 হাজার দামের ল্যাপটপ কিনতে চান সেক্ষেত্রে হয়তো সবগুলো ভাল কনফিগারেশন একসাথে পাবেন না। কিন্তু আপনি 40 হাজার দাম দিয়ে যদি একটা ডেক্সটপ বিল্ড করতে চান মোটামুটি ভালো কনফিগারেশনের ডেক্সটপ বিল্ড করতে পারবেন।
ল্যাপটপ এবং ডেস্কটপ দুইটাতেই কিছুটা সুবিধা অসুবিধা আছে। যেমন ল্যাপটপ হালকা এবং পোর্টেবল। যেখানে ইচ্ছা সেখানেই নিয়ে যেতে পারবেন। কখনো অসুস্থ হলে শুয়ে কোড করতে পারবেন। যেটা ডেক্সটপে সম্ভব না। আবার ডেক্সটপে একই কনফিগারেশনের ল্যাপটপের চেয়ে আপনি অনেক ভালো পারফর্মেন্স পাবেন। তবে পোর্টেবল হওয়ায় ল্যাপটপ জনপ্রিয়।
তবে আপনি যদি সেকেন্ড হ্যান্ড ল্যাপটপ কিনতে যান, 30000 টাকা বাজেটে মোটামুটি দেখেশুনে কিনলে অনেক ভালো কনফিগারেশনের ল্যাপটপ কিনতে পারবেন।